আসলে ভালবাসা তো সবখানেই। শুধু ধরণটা আলাদা। মা আর সন্তান, ভাই বোন, জিগরি দোস্ত। ভালবাসা এমন এক জিনিস যেকোন সময় যে কারো জন্য তৈরি হতে পারে। পথের মানুষের প্রতি ভালবাসা। কেউ বা আবার গাছ ভালবাসে আবার কেউ পশু। এমনকি পশুদের মাঝেও আছে ভালবাসা।
তবুও এইসব ভালবাসাকে উপেক্ষা করে যেটা মানুষের কাছে মুখ্য হয়ে উঠে তা হল একজন ছেলে মেয়ে যাদের মাঝে বিয়ের সম্পর্ক
যাই হোক এই কথাই বলতে চাচ্ছি যে এই প্রেম ভালবাসার বিষয়টা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। আর নারীর প্রতি পুরুষের এক আকর্ষন সেটাও জন্ম আজন্ম ধরে চলে আসছে। আর এরই ফলস্বরুপ আপনি নিজেও কারো না কারো সাথে প্রেম করেন বা কারো প্রেমে পড়েছেন বা কারো প্রেমে পড়বেন। স্কুল জীবন থেকে দেখে আসছেন ক্লাসের কোন মেয়ের প্রতি আপনার দুর্বলতা বা পাড়ার কোন মেয়েকে আপনি চুপ চুপ করে দেখছেন বা বন্ধুর প্রেমিকাকে নিয়ে আপনি স্বপ্ন দেখছেন
আগেকার দিনে প্রেম করা যেমন কঠিন ছিল তেমন সেই প্রেম ভুলাও কঠিন ছিল
কিন্তু এই আজকের দিনে প্রেমের গুরুত্বটা কমে গেছে অনেকাংশে। এই জন্য আজ দেখা যায় একই সাথে অনেকগুলি প্রেম করতে। তাহলে সেটা নিঃশ্চয় ভাল লাগা বলা যাবে না। আসলে এটা একটা খেলার মত
তবে আজও যে আপনি সত্যি ভালবাসা পাবেন না তা নয়। আজও হচ্ছে। আজও কেউ কারো জন্য নীরবে নিভৃতে কাদছে
এখন যে যে ভাবেই প্রেম করুক সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার
তো শুরু করা যাক। কিভাবে হতেও পারে আপনার ভালবাসার শুরু। আর শেষটা তো আপনার হাতে।
মেয়েদের মন বুঝা বড়ই কঠিন কাজ
প্রথমত একটা কথা যে মানুষের দৃষ্টি হল প্রেমের প্রথম রাস্তা। রাস্তায় কোন মেয়েকে দেখে ভাল লাগে আর এতেই আপনি তার পিছু নেন স্কুল কলেজ এমনকি তার বাড়ি পর্যন্ত। তো আপনার যেহেতু তাকে ভাল লাগে তো তাকেও তো আপনার ভাল লাগতে হবে। নাকি অগোছালো ভাবে চলে গেলন আর বলে দিলেন তাকে আপনার ভাল লাগে। তাই আপনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া জরুরী। এর জন্য আপনাকে বুঝতে হবে কি ভাবে ড্রেসআপ করলে আপনাকে ভাল লাগে। চুল কিভাবে কাটলে ভাল লাগে।গায়ে গন্ধ আছে কিনা। ব্রাশ নিয়মিত হয় কিনা বা হলেও বন্ধুরা মুখের গন্ধে কাছেই আসেনা তাইলে তো মেয়ে আগেই । সবাই তো আর শাহরুখ হয়ে জন্মায় না
দ্বিতীয়ত সাহসী হয়ে উঠুন
তৃতীয়ত তাকে বুঝতে শিখুন। আপনি যদি তার সাথে কথা বলতে পারেন তো সেটা সে কিভাবে নিচ্ছে। আগেই বলেছি মেয়েদের বুঝা একটু কঠিন। সে হয়ত আপনাকে বুঝতে দিবেনা অনেক কিছুই। আর যদি কথা এখনও বলতে না পারেন তো তার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করুন। আর ভাবুন কিভাবে কথা বলবেন।
চতুর্থত আপনি তার সাথে কথা বলে ফেলেছেন। কি বলেছেন সেটা আমি জানিনা। তবে নিঃশ্চয় প্রেমের প্রস্তাব দেননি। কেননা যদি না আপনি দেখতে শাহরুখ বা সালমানের মত না হন তবে রিজেক্ট হবার সম্ভাবনা আছে। এবং পরে হয়ত ট্রাই করলে খুব একটা কাজ হবে না। দেখুন না যদি আপনার খুব একটা পছন্দ না এমন মেয়ে আপনাকে প্রস্তাব দেয় তাহলে হয়ত আপনিও এটা পছন্দ করবেন না। হয়ত তার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। তাই এখন তার সাথে ঘনিষ্ট হবার চেষ্টা করুন।
পঞ্চমত আপনি কিভাবে ঘনিষ্ঠ হবেন তা নির্ভর করবে আপনার উপর এবং আপনার পরিস্থিতির উপর। আপনাকে যদি কেউ মিথ্যা করেও বলে যে আপনি দেখতে নায়কের মত
ষষ্ঠ আপনার সম্পর্কে সবসময় মোটামুটি সত্যবাদী হন। প্রেম করার জন্য মিথ্যা বলতে হতে পারে । তাই বলে তালগাছ কে চিঃশ্চয় আমগাছ বলবেন না। আপনার গাছের ছোট পেয়ারাকে আপনি বন্ধুদের কাছে ইয়া বড় বলে চালাতে পারেন কিন্তু যা নেই তার গল্প করা উচিত হবে না। মানে সততা প্রেমের জন্য খুব উপকারী জিনিস। এখন এটা আপনার ব্যাপার যে আপনি কোন পরিস্থিতিতে আছেন।
সপ্তম প্রথম থেকে বলব বলেও বলা হয়নি যেটা সেটা হল আপনার দৃষ্টি। চোখে চোখ
অস্টম কথা বললেন , ঘনিষ্ট হলেন, প্রশংসা করলেন চোখে চোখ রেখে কথা বললেন। হা এর মাঝেই হয়ত কেউ তার মনের কথা বলে ফেলেছে। এক এক মানুষের জন্য বিষয়টা এক এক রকম। তাই নয় কি? তো ভাবুন কি করা যায়। কি জন্য এমন হচ্ছে যে আপনি বলতে পারছেন না । আপনি সাহস পাচ্ছেন না নাকি মেয়ের কাছ থেকে কোন পজিটিভ ইঙ্গিত পাচ্ছেন না। আপনার সমস্যা আপনাকেই বুঝতে হবে। আর মেয়ে কেন পজিটিভ কোন আচরন করছে না তা খুজে বের করার চেষ্টা করুন। তার পরিবার সমস্যা নাকি অন্য বয়ফ্রেন্ড আছে নাকি সে আপনাকে এখনও সেই ভাবে চিন্তাই করেনি। না করলে আপনার ব্যর্থতা কারন আপনি বুঝাতে পারেন নি যে আপনি তার প্রতি আকৃষ্ট। যদি সে চিন্তা না করে তাহলে আপনি তার সাথে ঘনিষ্ঠ আচরন করার পরে, কারন অকারনে তাকে সাহায্যর বাহানা করার পরে গায়েব হয়ে যান। তার সাথে দেখা করা থেকে বিরত থাকুন। দেখা হলে অবশ্য তার সাথে কথা বলুন তবে এমন কিছু করার চেষ্টা করুন যাতে সে আপনার জন্য অনুভব করে। এটা তো খুব স্বাভাবিক যে ছোট বাচ্চার সাথে দু দিন খেলা করুন। পরের দিন থেকে তাকে না পেলে আপনার খারাপ লাগবে। মানুষের ব্যাপারটাই এরকম।
নবম এর মাঝে অনেকের প্রেম হয়ে গেছে। কারন যে যত চালু সে এই কাজে তত সফল। তো সে কি আপনার খোজ করল। না বেশি দিন গায়েব হয়ে থাকা যাবেনা তাহলে আপনার প্রানপ্রিয় বন্ধু এর মাঝেই পাওনার জায়গা দখল করে নিতে পারে। আপনাকে দেখে তার কত খুশি বা অভিমান বা রাগ বা অভিযোগ। আপনি বলে দিন আপনার মনের কথা। কিভাবে বলবেন সেটা আপনার ব্যাপার। রেস্টুরেন্টে নাকি পার্কে নাকি ফুল হাতে নাকি খালি হাতে। কোন ভাষায় বলবেন সেটাও আপনার ব্যাপার। কবিতা দিয়ে বলবেন নাকি আঞ্চলিক ভাষায় বলবেন নাকি কোন রোমান্টিক মুভির বিখ্যাত ডায়ালগ মারবেন নাকি ডিপজলের মত বলে উঠবেন কাছে আয়নারে
দশম অনেক চেষ্টা করলাম আপনি আর আমি মিলে। কাজ হল না তাহলে কি করবেন। হা আবার শুরু করুন। কেননা এইটাই জীবন। এই ছোট্ট জীবনে এত ভাবার সময় কোথায়। আর জীবনের কত সময় বা এরকম করবেন। যতদিন যৌবন তত দিন। তো যৌবনের পালে হাওয়া লাগান। হাসতে শিখুন হাসাতে শিখুন। এই শীতের আবহাওয়ার মাঝেও রঙ খুজুন।
সবশেষে বলতে চাই এটা কিছু চিন্তাধারার ফসল। প্রেম আসলে বলে কয়ে হয় না। আর কিভাবে হয় তা বলেও বুঝানো যায় না। আমার এক বান্ধবী প্রেম করত। আমাদের সাথেই অন্য এক বন্ধু মনে মনে তাকে পছন্দ করত। কোন দিন বলেনি কারণ সেই মেয়ের বয়ফ্রেন্ড ছিল।আমরা এই বিষয়টা জানতাম। তো ওই বন্ধুর মোবাইল থেকে আমাদের একজন বন্ধু ফাজলামী করে সেই মেয়েকে লাভ মেসেজ পাঠায়। এখন তারা চুটিয়ে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। তাই সব কিছুর সাথে ভাগ্যটা জরুরী। ভাল থাকুন।
No comments:
Post a Comment