– দুই নৌকায় দুই পা রেখে খেয়া পেরুতে হলে, দু’নৌকার দুই মাঝি পুরাপুরি
নিজের আয়ত্বে থাকতে হবে, তা না হলে মাঝপথে ডুবে যাওয়ার সমুহ সম্ভবনা
আছে।
– অপরাধীরা যত বেশি নিঃসঙ্গ হয় তত বেশি তার মাঝে অনুশোচনাবোধ জেগে উঠে। নিঃসঙ্গতা অপরাধীর মনে সেই বোধের জন্ম দেয়।
– কাউকে দৌড়ানি দিতে হলে প্রথমে নিজে ভাল করে শিখে নিতে হয় কিভাবে
দৌড়াতে হয়, তা না হলে দৌড়ানি দিতে গিয়ে দৌড়ানি খেয়ে আসার সম্ভবনা
থাকে ।
– আমি যখন নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ি তখন মনেমনে ভাবি একজন প্রিয়তমা পাশে থাকলে
মন্দ হত না। অন্তত শিহরিত হয়ে উঠতে পারতাম, বিচলিত করে তুলতে পারতাম
নিঃসঙ্গতাকে।
– দ্বিধা এবং দ্বন্দের মাঝখানে থেকে আমরা যেসব স্বপ্ন দেখি সেগুলা হয় বিশ্রী স্বপ্ন, চরম বিশ্রী।
– তোষামোদকারীরা বড়জোর রাজনীতিবিদ হতে পারে, কিন্তু কোনদিনও জননেতা হতে পারে না।
– নিজে কোনরকম দোষ না করেও যদি কেউ নিজেকে দোষী মেনে নিয়ে দোষী
ব্যাক্তির কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে সে ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনরকম মহত্ব
নেই। বরং সেটা তার দুর্বলতা প্রকাশ করে এবং পরোক্ষভাবে দোষী ব্যাক্তির
অপরাধ মেনে নেয়াটা।
– সময় করে সময় নিয়ে ভাববার সময় পাচ্ছিনা, অথচ সময় চলে যাচ্ছে !
– রেসেন্টলি কিছু মানুষের এক্টিভিটিজ দেখে মনে হল বাংলাদেশের
রাজনীতিবিদরা দলপ্রেমের উর্ধে দেশপ্রেমকে নিতে পারেনা। তাদের কাছে প্রথমে
দল তারপর দেশ। বাংলাদেশে এখন খুব প্রয়োজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ নট
দলপ্রেমিক।
– প্রত্যেক ধনী মানুষ ধনী হওয়ার পিছনে কিছু গরীব মানুষের অবদান থাকে। কিন্তু ধনীরা সেটা স্বীকারও করে না, তার স্বীকৃতিও দেয়না।
– যে মানুষ বাতাসের বিপরীতে ঘুড়ি উড়িয়ে পার করে দেয় তার সোনালি সাঝবেলা, সে মানুষ কারোর পোষ মানে না।
– চারদিকের অস্হিরতা মাঝেমাঝে বেঁচে থাকার আনন্দটা ধুলিমাটি করে দেয় !
– যারা নিজের চোখের পর্দা না করে মেয়েদের পর্দা করতে বলে তারা হল
হেপোক্রেট। আর যারা মেয়ারা পর্দা করতে দেখে সেটা নিয়ে ব্যঙ্গ করে তারা হল
পার্ভাট।
– একটা মিথ্যা বললে দশটা মিথ্যা বলতে হয়। তবে এই দশটার মাঝখানে যদি
বাইচান্স একটা সত্য ঢুকে যায় তাহলে কিন্তু প্যাঁচ লেগে যাবে! তাই খেয়াল
করিয়া
– কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল আছেন যারা সবকিছুতেই ধর্মের দোষ খুঁজে বেড়ান।
গোঁড়া কাঠমোল্লা এবং সেসব প্রগতিশীলদের মাঝে আমি কোনরকম পার্থক্য খুঁজে
পাইনা।
– সেই ছোটবেলা থেকে সাপকে আমি খুব ভয় পাই। ইদানিং খেয়াল করলাম আমি যত মানুষের কাছাকাছি যাই সাপের প্রতি ভয় ততই কমে আসে।
– সুযোগ সন্ধানী মানুষদের বিশ্বাস করতে নেই, কারণ বিশ্বাসের মূল্যায়ন কিভাবে করতে হয় সেটা তারা জানেনা।
– আহাম্মকরাই শুধু খেলার মাঝখানে জিতে গেছি জিতে গেছি বলে আনন্দে লাফানো
শুরু করে দেয়। বিরতির পর যে খেলায় অনেক ক্লাইমেক্স বাকি থাকে সে
ব্যাপারটা আহাম্মকরা কক্ষনই বুঝে না। সেটা তারা তখন বুঝে যখন খেলা শেষে
মাথা চুলকাতে চুলকাতে শৃন্য হাতে বাড়ি ফিরে।
– প্রেম বিষয়ক অনভুতি মাঝেমাঝে ভয়ানক ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় বুকে থেকে মগজ পর্যন্ত আর মাঝেমাঝে মেডিসিনের মত কাজ করে ।
– যারা লোক দেখানো ভাল কাজ করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য, নিজেদের
ক্ষমতার দেখানো বা বাড়ানোর জন্য – তারা আর যাই হউক ভাল মানুষ হতে পারে না।
– অবুঝকে বোঝ দেয়ার সহজ উপায় হল – তার হাতে তালগাছ ধরিয়ে দিয়ে তাকে গাঁয়ের মোড়ল বানিয়ে দেয়া ।
– খারাপ লোকের সাথে সমঝোতা করতে নাই কারণ সমঝোতার পর সে আরও ভয়ানক খারাপ হয়ে উঠতে পারে ।
– কোন একটা সমাজে কোন আঁতেলকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার আগে একশবার ভেবে
নিয়েন – তা না হলে পরে পস্তাতে হবে ! কারণ আঁতেলরা মাঝেমাঝে দুধকলা দিয়ে
পোষা সাপের মত হয় !
– কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কারোর মেয়ে/ছেলে বা
স্বামী/স্ত্রী হওয়া কোন যোগ্যতা নয়। সেই সুত্র ধরে বলতে পারি হাসিনা বা
খালেদা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যোগ্য নন। হাসিনা খালেদার পর আসবে
জয়-তারেক যুগ। সেটা চলবে আরও ৩০-৩৫ বছর। তাহলে আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারছি
আগামি ৩০-৩৫ বছরের মাঝে বাংলাদেশ কোন যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে না।
– মৃত্যুদণ্ড খুবই নিম্নমানের একটা শাস্তি। কারণ সেটা অপরাধীকে মুক্তি
দেয় আর শাস্তি দেয় কিছু নিরপরাধ মানুষদের( যেমন- মা,বাবা,ভাই,বোন, বউ,
ছেলেমেয়ে আত্মীয়স্বজন।
– চারদিকে যে হারে ফ্রাস্টেশান বাড়ছে, খুব শীঘ্রই হয়ত দেখব মানুষ আর স্বপ্ন দেখছে না, স্বপ্ন ই মানুষকে দেখা শুরু করে দিয়েছে।
– বাংলাদেশের রাজনীতি আস্তে আস্তে করে থুথু ফেলার উপযুক্ত জায়গা হয়ে
উঠছে। এভাবে চললে হয়ত সেদিন আর দূরে না যেদিন পাবলিক টয়লেটের আর দরকার
পড়বে না !
– যে সাংবাদিক সত্য কে মিথ্যা, মিথ্যা কে সত্য বানিয়ে সংবাদ পরিবেশন
করে – তার গায়ের রঙ হলুদ, তার কাপড়ের রঙ হলুদ, তার কলমের কালির রঙও হলুদ !
ইদানিং সাংবাদিকদের মাঝে লক্ষ্য করা যায় একটা প্রতিযোগিতা চলে যে – কে
কতবেশি তাদের জীবনটাকে হলুদময় করে তুলতে পারে!
-বুঝাবুঝির ব্যাপারে আমার যে সমস্যা সেটা হল আমি সবসময় একটু কম বুঝি!
আর কোন বিষয়ে যদি নিজ থেকে বুঝে নেই, তাহলে আমি যেটা বুঝি সেটা প্রায়ই
ভুল বুঝি। তবে যেটা একবার বুঝে ফেলি সেটা খুব ভাল বুঝি !
– বন্ধুত্ব হল সেই সুতা যে সুতা দিয়া দুইটা বুককে আজীবন একটা বিন্দুতে বেঁধে রাখা যায় ।
– দিন বদলের প্রত্যাশা নিয়ে এখন আর কেউ সংগীত রচনা করে না, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে কেউ শুনেনা জীবনের গল্প।
– মৃত্যু কলিজাটারে একদম ফোড় করে দিয়ে যায় – এভাবে একদিন অন্যদের কলিজা ফোড় করে দিয়ে আমরাও মরে যাই।
– খুব অকালে একলা হয়ে গেলে দ্বিতীয় জীবনে আর অপেক্ষা করতে হয় না। হায় দ্বিতীয় জীবন, তুমি কেন বারবার দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকাও?
– সীমানারও একটা সীমানা থকে। তাই জীবনে বারবার সীমানা পেরিয়েও দেখা যায় আমরা নির্দিষ্ট একটা সীমানায় আটকে পড়ে আছি।
– আমরা সবাই যদি আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের জীবনের গল্প নিজেরা লিখে
যেতে পারতাম তাহলে হয়ত নাটক সিনেমা উপন্যাসের জন্য আলাদা করে বানিয়ে
বানিয়ে গল্প লেখার আর দরকার পড়ত না।
– আজকে দুইটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে ১- প্রাকৃতিক দৃর্যোগের
নাম মেয়েদের নামে হয় কেন? ২- মানুষ মৃত্যুর মত একটা স্বাভাবিক জিনিসকে এত
ভয় পায় কেন?
– জীবনটা আসলেই সুন্দর, তারচেয়ে বেশি সুন্দর বেঁচে থাকা । তাইতো কবি যথার্ত বলেছেন – মরিতে চাহিনা আমি এই সুন্দর ভুবনে ।
– ধনী গরীব সবার জন্য সব উৎসব সমানভাবে আসে। তাই আমাদের সবার উচিৎ যার যার অবস্হান থেকে যার যার মত করে উৎসবকে এনজয় করা
– কয়লা ধুইলে কয়লার ময়লা যাবেনা ঠিকই কিন্তু কয়লা ক্ষয়েক্ষয়ে নিঃশেষ হওয়ার সুযোগ থাকে। আর আমাদের সবার সে সুযোগটা নেয়া উচিত।
– পৃথিবীর সব মানুষ অসাধারন হয়ে বেঁচে থাকতে চায় বলেই হয়ত সাধারন মানুষ হয়ে বেঁচে থাকাটা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ে।
– মাঝেমাঝে এমনও হয় যে, হুট করে মরে যাওয়ার চিন্তা নিয়ে ভীষণভাবে বাঁচতে ইচ্ছা করে।
– মুখে মধু আর বুকে বিষ নিয়ে যারা ঘুরে বেড়ায় তারা কোনদিনও কারোর বন্ধু হতে পারে না।
– শেষ রাতের প্রার্থনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক ” ভাল থাক তোমরা সব চেনা মানুষ -সাথে অচেনারাও” !
– মন শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলে – বাকি জীবন পুড়েপুড়ে কাটাতে হয় ।
– আত্নশুদ্ধির জন্য একটা ঘুম দরকার – নিরব মায়াবী একটা বাউল ঘুম।
– পাবলিক না বুঝে যখন লাফায় তখন শুধু বিরক্তই লাগে না রাগও উঠে।
– দুনিয়া যে দিক যাক সেটা তেমন ইম্পটেন্ট না, যতটা ইম্পটেন্ট নিজের কাছে নিজে অনেস্ট থাকাটা।
– সময় অদৃশ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত নিরব থাকে, অদৃশ্য হওয়ার পরপরই চিৎকার
দিয়ে জানান দেয় – তার চলে যাওয়া। আমরাও তখন আমাদের দীর্ঘশ্বাসে আমাদের
চলে যাওয়া সময়কে বাঁচিয়ে রাখার অপ্রাণ চেষ্টা করি।
– মাঝেমাঝে প্রশান্তিতে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য বিশ্বাসের খুব প্রয়োজন পড়ে।
– ইচ্ছাই হল কোন কিছু অর্জনের প্রথম ধাপ। আর সন্তুষ্টি হল কোন কিছু অর্জনের শেষ ধাপ।
– দুষ্ট লোকেরা যখন তাদের সব দুষ্ট নীতিতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতি
প্যাঁচিয়ে ফেলে,তখন সেই প্যাঁচে ঘুরপাক খেতে খেতে প্রজাদের মাথার ঘাম
পায়ে ঝরে। আর দুষ্ট লোকেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে ফ্যাশন শো দেখে
– যত দিন যাচ্ছে প্রজাদের স্বাভাবিক বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়ছে, সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ছে! রাজারা কি সেটা বুঝতে পারছেন না ??
– সম্পর্কের মাঝে মাঝেমাঝে ঝগড়াঝাটি না থাকলে পানসে লাগে, আবার সম্পর্কের মাঝে ঝগড়াঝাটি থাকলে বিরক্ত লাগে ।
– হয়ত শব্দটা বেশ আরামদায়ক – মাঝেমাঝে বেশ আশাবাদী করে তুলে
– অপরের তিলে তাল খুঁজা লোকদের চোখে আঙুল দিয়ে গর্ত করে তাদের ভুল দেখিয়ে দিলেও, তারা সেটা দেখে না, তারা তিলে তাল খুঁজতেই থাকে।
– দুই ঠ্যাংগের ব্যাথা দুই হাত দিয়ে অনুভব করতে গিয়ে দেখি পিছনের মেরদন্ডটা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে আর বুকের হাঁড়গুলো সোজা।
– পরস্পরের দূর্গন্ধ থেকে বাঁচতে হলে একজনকে নাক চেপে ধরতে হয় আর আরেকজনকে মুখ।
– আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে পড়া সস্তা অনুভুতিও একদিন মানুষকে নষ্টালজিক করে তুলে।
– পিছনে ব্যাগ ফেলে হেলেদুলে হারিয়ে যাওয়া সব বন্ধুরা ফিরছে, দৃশ্যটা আমার কাছে সবসময় লাইভ !
– আবেগপ্রবণ মানুষদের জন্য এই দুনিয়াটা তেমন সুইটেবল জায়গা না –
– রেডিমেইড হউক আর স্বরচিত হউক জীবনের একটা সংবিধান দরকার –
– হারার পর বোঝলাম জিতাটা কতটা জরুরি ছিল –
– একসময় ভাবতাম একদিন ঠিকই সবার প্রিয় হয়ে উঠব – এখন বুঝতাছি কারোর প্রিয় হওয়ার কোয়ালিটি আমার মধ্যে চরম ভাবে অনুপস্হিত
– সেই কবেই বাবা উড়াল দিলেন – এরপর থেকেই ছায়াহীন জীবন যাপন শুরু –
– হাসান সাইদ’দের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়াটা ফরজ। আর প্রশাসনের সে ফরজ পালন করাটাও ফরজ ।
– কিছুকিছু মানুষ চোখ খুলে পকেটে নিয়ে, নাকের ডগায় চশমা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। দিনদিন সেসব মানুষদের সংখ্যায় বাড়ছে ।
– যারা সাধারন মানুষের কথা বিন্দুমাত্র ভাবে না – যারা দেশের ভবিষ্যতের
কথা বিন্দুমাত্র চিন্তিত না – তারাই দেশের কাঁধে তীর আর সাধারন মানুষের
মাথায় ধনুক রেখে শিকার করে তাদের বিলাসবহুল জীবন । আফসোস তারাই আমাদের
নেতা – তারাই আমাদের সরকার
– দু’বেলা দু’মুঠো ভাত চাই – সে ভাত রান্নার জন্য গ্যাস চাই।
আরো ফেইসবুক স্ট্যাটাস
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment