ইতিহাস ও অবস্থানঃ
প্রাথমিক ইতিহাসঃ ১৭৮৭ সালে সিরাজ আলী চৌধুরী বড়বাজু পরগনার সাত
আনা ক্রয় করে জমিদারী পত্তন করেন। বেলকুচি ছিল সেই সিরাগঞ্জ জমিদারির
রাজধানী। যমুনার করালগ্রাসে কয়েকবার জমিদারী নিশ্চিহ্ন হয়েছে। আইয়ুব
খানের আমলে ১৯৭৯ সালে থানা সার্কেল অফিসার এবং স্বাস্থ্য অফিসারের পদ
সৃষ্টি হয়। মূলতঃ ১৯২১ সালে শাহজাদপুর উল্লাপাড়া, সিরাগঞ্জ থানা সমূহ হতে
১০৮ টি মৌজা নিয়ে বেলকুচি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে বেলকুচি মৌজায় এর
কার্যালয় স্থাপিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নতুন প্রশাসনিক
ব্যবস্থার আওতায় এই থানাকে ১৯৮৩ সালে বেলকুচি মান উন্নীত থানা হিসাবে
উদ্ধোধন করা হয়। পরে এটি উপজেলা হিসাবে মর্যাদা পায়। বর্তমানে বেলকুচি
উপজেলা একটি পৌরসভা, ৬টি ইউনিয়ন, ১০৯টি মৌজা এবং ১৫১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
ভৌগোলিক অবস্থান সিরাজগঞ্জ জেলা সদর হতে ২০ কিঃ মিঃ দূরত্ব
দক্ষিণ দিকে অবস্থান। বেলকুচি উপজেলাটি ২৪˚ ১৩র্ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪˚
২২র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯˚ ৩৭র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯˚ ৪৭র্ পূর্ব
দ্রাঘিমাংশ পর্যমত বিস্তৃত।
উপজেলার ইতিহাস ১৯২১ সালে শাহ্জাদপুর, উল্লাপাড়া ও সিরাজগঞ্জ
থানা হতে মোট ১০৮টি মৌজা নিয়ে বেলকুচি থানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে
বেলকুচি মৌজায় এর কার্যালয় স্থাপিত হয়। প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় এই
থানাকে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ ১৯৮২ বলে এপ্রিল ১৯৮৩, ১লা বৈশাখ ১৩৯০
বাংলা সনে বেলকুচি থানাকে মানোন্নীত থানা হিসেবে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে
বেলকুচি উপজেলাটি ১টি পৌরসভা, ০৬টি ইউনিয়ন, ১০৮টি মৌজা ও ১৫১ টি গ্রাম
নিয়ে গঠিত। ইউ/পি গুলো হলোঃ (১) বেলকুচি সদর, (২) রাজাপুর, (৩)
ভাঙ্গাবাড়ী, (৪) দৌলতপুর, (৫) ধুকুরিয়াবেড়া ও (৬) বড়ধুল। উপজেলা শহরটি
৮টি পূর্ণ মৌজা ও ১টি’র আংশিক মৌজা নিয়ে গঠিত। উপজেলা শহরের আয়তন ১৯.৩০
বর্গ কিঃমিঃ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসঃ
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়টি বেলকুচি পৌরসভাধীন চালা মৌজার সওজ এর আগমনী রাস্তা হতে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে প্রাক্তন সি,ও (ডেভঃ) অফিস যা বর্তমানে উপজেলা প্রশাসনিক কার্যক্রমের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এপ্রিল ১৯৮৩, ১লা বৈশাখ ১৩৯০ বাংলা সনে বেলকুচি থানাকে মানোন্নীত থানা হিসেবে উন্নীত করা হয়। উল্লেখ্য যে যমুনা নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি বিবেচনা করে তৎকালীন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোর্ট ভবনসহ কিছু আবাসিক কোয়ার্টার চালা গ্যারেজের পশ্চিম পার্শ্বে নির্মাণের সিদ্ধামত দেন।
সংক্ষিপ্ত তথ্যাবলীঃ
উপজেলার নামঃ বেলকুচি। আয়তনঃ ১৬৪.৩১ বর্গ কিঃমিঃ।(এটি সিরাজগঞ্জ জেলার ২য় ক্ষুদ্রতম উপজেলা) ইউনিয়েনের সংখ্যাঃ ০৬ টি মোট পৌরসভার সংখ্যাঃ ০১ টি মোট মৌজার সংখ্যাঃ ১০৮ টি। মোট জমির পরিমাণঃ ১৩,৮১৬ হেক্টর। মোট কৃষি পরিবারের সংখ্যাঃ ২৭,৯৮৩ টি। মোট সেচ আওতাধীন জমির পরিমাণঃ বোরো- ৭১৮০ হেঃ, গম- ১৬০ হেঃ, শাক-সবজি ১০০ হেঃ। প্রধান নদীঃ ০২ টি। (যমুনা ও হুড়া সাগর) মোট গ্রামের সংখ্যাঃ ১৫১ টি। মোট জনসংখ্যাঃ ৩,০২,৬৭৮ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বঃ ১,৮৪২ জন মোট খানার সংখ্যাঃ ৫৭,৬৬৬ টি। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ৮২ টি। রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ৫৭ টি। কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ০৭ টি। কে.জি স্কুলঃ ১১ টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হারঃ ৮০% প্রায়। উপবৃত্তি প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ১২৩ টি। উপবৃত্তি পায় না এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ২৩ টি। মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ স্নাতক-০৫, উচ্চ মাধ্যমিক-০২, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-০১ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ২০ টি। নিমণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ০৩ টি। কারিগরি বিদ্যালয়ঃ ০১ টি। মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজঃ ০১টি। মাদ্রাসাঃ দাখিল-০৭টি আলিম-০১টি, ফাজিল-০৪ টি। এবতেদায়ী মাদ্রাসা ২৩ টি। ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ১০ টি। মোট হাট-বাজারের সংখ্যাঃ ২০টি। মসজিদের সংখ্যাঃ ৫১০ টি। মন্দিরের সংখ্যঃ ৩৫ টি। গির্জার সংখ্যাঃ ০১ টি। টেলিফোন এক্সচেঞ্জঃ ০১ টি। রেষ্ট হাউজঃ ০২ টি। (০১টি জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং ০১ টি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন) ব্যাংকঃ ১৫টি। হাসপাতালঃ ০১টি সরকারি, ০২টি বেসরকারি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রঃ ০২টি। যক্ষা ও কুষ্ঠ নিরাময় কেন্দ্রঃ ০১টি। কমিউনিটি ক্লিনিকঃ ৪২টি। ইউনিয়ন ভূমি অফিসঃ ০৪টি। ডাকঘরঃ ১৮ টি। খাদ্য গুদামঃ ০২টি। (ধারণ ক্ষমতা ৬৫০ মেঃ টন প্রতিটি)
নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যাবলী
(১) মোট ভোটার সংখ্যাঃ ১,৯৬,২৩৯ (পুরুষ-৯৯,৪১১ মহিলা- ৯৬,৮২৮)। (২) মোট ভোটার এলাকার সংখ্যাঃ ১৯৯ টি। (৩) প্রস্ত্ততকৃত মোট পরিচয় পত্রঃ ১,৯৬,২৩৯ টি। (৪) বিতরণকৃত পরিচয় পত্রঃ ১,৯৬,২৩৯ টি। (৫) নির্বাচনী এলাকাঃ ৬৬ সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী উপজেলা নিয়ে গঠিত)
খ্যাতিমান ব্যক্তির নাম
- কবি রজনীকান্ত সেন
- ডঃ আব্দুল হামিদ, সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ।
- আব্দুল মমিন তালুকদার, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য।
- এম.এ মতিন, সাবেক সংসদ সদস্য।
- মোঃ শহিদুল্লাহ্ খাঁন, সংসদ সদস্য।
- ডাঃ কে,বি,এম, আবু হেনা, সংসদ সদস্য।
- মোঃ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, মন্ত্রী, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়।
- বিচারপতি জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, জুডিশিয়াল
- প্রফেসর ডঃ নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
- আলী আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান।
No comments:
Post a Comment