সত্য নাকি মিত্থা
মোবাইল টা হাতে নিয়ে ,মিসকল দিতে দিতে ,হল কল কল রিসিভ, তারপর কথা বলা ,হল ফ্রেন্ডশিপ, তারপর ভালবাসা ,রাত দিন কথা বলা ,তারপর দেখা দেখি
লাল শাড়ী নীল শার্টে ,রমনাতে হাটাহাট,
রিক্সাসাতে ঘুরাঘুরি ,চায়নিজ আর ফাস্টফুড খাওয়া ,পকেট টা হল ফাঁকা,
হঠাৎ করে কী জানী কী হয়ে গেল ,কল দিলে তা হয় ওয়েটিং...
তার মানে কী তুমি আমায় ,ইউজ করলে এত দিন ।
একটি অপূর্ণ ভালবাসার গল্প
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই সিরিজ পোষ্টটি অনেকেই পড়বেন তা জানি। আমি সব সত্য ঘটনা এবং আসল নাম ব্যবহার করেই লিখবো। হয়তো যে মেয়েকে আমি ভালবেসেছিলাম তাকে অনেকেই চিনবেন বা আনাদের কারো নিজেদের কেউ হলেও হতে পারে। তবে হ্যা আমি এখানে এমন কিছুই লিখবো না বা মিথ্যা কিচুই মেয়ার করবো না যেটা আপনাদের চোখে খারাপ লাগবে। আর যাদের সাথে হয়তো এই মেয়ের পারিবারিক সম্পর্ক আছে তারা দয়া করে আমাকে বা তাকে নিয়ে খারাপ ধারনা নিবেন না। কারন, প্রেম ভালবাসা মানুষই করে। কারও পরিচিত এর মধ্যে হয়ে কারও অপরিচিত।বয়স চলছে ২২। ২১ টি ভালবাসা দিবস, ২১টি পহেলা বৈশাখ পার হয়ে গেছে। আরো কত কি যে পার হইছে তা না-ই বা বললাম। নিজের মনের মধ্যে এই ২২ বছরে অনেক কিছুরই পূর্নতা আসছে। কিন্তু অপূর্ণতাও আছে তার চাইতে অনেক বেশি। আসলে আমি আমার বন্ধ সার্কেলের মধ্যে অনেকটা আলাদা প্রকৃতির ছিলাম। এখন অবশ্যই নিজের মাঝে অনেক পরিবর্তন আনতে বাধ্য হইছে সময়ের প্রয়োজনেই। আলাদা প্রকৃতির হবার কারনে অনেকের অনেক কটু কথাও হজম করতে হয়েছে। বন্ধুরা একের পর এক প্রেম করে আর ছ্যাকা দেয়/খায় । আমি মোটামুটি মজাই নিতাম ওদের সেইসব কার্যকলাপ থেকে। কিন্তু প্রকাশ করতাম না যে, আমি যে ভরা যৌবন উতলায় পড়তেছে। আমারো যে, দরকার প্রেম-ভালবাসা করার দরকার। কিন্তু, আমি মেয়েদের প্রতি একদমই ইন্টারেষ্টেড ছিলাম না। এমনটা কেন ছিলাম জানি না।
তবে হ্যা, আমার একটি ভ্রমন পিপাসু মন আছে। যেকোন জায়গায় দূরে হোক আর কাছে আমার যাওয়া চাই। প্রতি বছরের ন্যায় গত বছর(২০১০) এর বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম সিলেট ট্যুর এর। যেই কথা সেই কাজ। রওনা দিলাম সবাই মিলে, নানান ঝড় ঝাপটা উপেক্ষা করে শেষে পৌছাইলাম সিলেট এ। ৫ দিনের সফর অনেক আনন্দের সাখে শেষ করে ফিরলাম রংপুর(আমার বাড়ি)। পুরো একদিন বিশ্রাম নেয়ার পর যথারীতি আমার কার্যক্রম শুরু করলাম। পিসিতে বসলাম, ফেইসবুক অন করে সবার সাথে অনেক মজা করলাম, ট্যুরের অনেক ছবি আপলোড করলাম। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমার স্বাভাবিক জীবনযাপন। তবে কে জানতো যে, এরই মাঝে আমার না চাওয়া ভালবাসা আমার সাথে দেখা করবে অপ্রত্যাশিত ভাবে ….
শুরু যেখানে ..
আমি কতটা ইন্টারনেট এবং ফেইসবুক আসক্ত তা লিখে বুঝাতে পারবো না। প্রতি দিনের মত ঠিক সেদিনও(তারিখ মানে নাই) ফেইসবুক ওপেন রেখে কাজ করচিলাম। সময়টা মে বি বিকেল ৪.৩০ মিনিট হবে। হঠাত একটি মেয়ে আমাকে ফেইসবুকে নক করে। যদিও আমি ফেসবুকে আগে থেকেই মেয়েদের সাথে তেমন একটা ইন্টারেক্ট করতাম না। স্বাভাবিকভাবে এই মেয়েকেও ইন্টারেক্ট করি নাই। কিন্তু সেই মেয়ে আমার সাখে অনবরত কথা বলতেছিল। বাধ্য হয়ে আমি কাজ অফ করে বলতেছিলাম। কথা বার্তার এক পর্যায়ে জানতে পারলাম সে আমার শহরের্ই(রংপুর) মেয়ে। এবং আমারে থেকে কিছু দূরেই থাকে। কিন্তু কোথায় থাকে তা জানতে চাইলে বলে নাই। আসলে মেয়েরা স্বভাবতই এমন। কিছু বলতে চায় না সহজে। যাকগে, এভাবে প্রায় প্রতিদিনই কথা হত। এমন মোটামুটি একটা ভাল সম্পর্ক তৈরী হল।
কিছু দিন পর জানতে পারলাম ঐ মেয়ে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড এর ভাগনি হয়। বলে রাখা ভাল আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড আমার চাইতে বয়সে অনেক সিনিয়র মেয়ে এবং তিনি ঢাকায় থাকেন, তার সম্পর্কে বিস্তারিত বলাটা এখানে সম্ভব না। তাতে কি, বন্ধুত্ব তো বয়স বা ছেলে-মেয়ে মানে না। আমার এই বেষ্ট ফ্রেন্ড এমন একজন মানুষ যে কি না আমার লাইফের অনেক গুরুপ্তপূর্ণ একটি মানুষ। এভাবে আরো অনেক কিছুই জানলাম সেই মেয়ের ব্যাপারে, যেমন: কি করে, ফ্যামিলিতে কে কে আছে ইত্যাদি। রীতিমত কথা হত আমাদের। ও আমাকে আপনি বলে সম্বোধন করতো আমি তুমি করে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ওর সাথে আমার ভালই বন্ধুত্ব হয়েছিল। আমি কখনও ভাবতে পারি নাই যে, দ্বিতীয় কোন মেয়ের সাথে আমার এতটা ভাল বন্ধুত্ব হবে।
আরো সময় গড়ানোর সাথে সাথে আমার মনে কেমন যেন একটা অস্বাভাবিকত্ব কাজ করতে শুরু করলো। ওর সাথে কথা না বলতে পারলে আমার রাতের ঘুমটাও হারাম হয়ে যেত। আসলে তখনও বুঝতে পারি নাই যে, আমি ওকে ভালবেসে ফেলছি। কি করবো বুঝতে পারতাম না। শুধু ওকে নিয়েই ভাবতাম সারাক্ষন। আসলেই যে এসব ভালবাসার সিমটম তা বুঝলাম কযেক মাস পড়েই। একের পর এক প্রতিদিন আমাদের কথা হত ফেসবুকে, ইয়াহু মেসেন্জারে। বেশির ভাগ দিন গেছে রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত চ্যাটিং করছি। আসলে শুধু যে ওর সাখেই কথা বলতাম তা নয়। ওর রংপুরস্থ খালা যে কি না ওদের সাথেই থাকতো উনার সাথেও কথা হত।
এভাবে প্রায় তিন-চার মাস পার হল। কোন কিছুই যে আর আমার ভাল লাগতেছিল না। ওর সাথে এর আগে দেখাও হয় নাই। দেখা হবার ঘটনাতো আরো পরে আসছে। ভাবতে লাগলাম ওর সাথে দেখা করলে কেমন হয়। কিন্ত না পরে ডিসিশন পরিবর্তন করলাম। এভাবে দেখা করা আমাদের জন্যও খারাপ হতে পারে। তাই চুপ মেরে গেলাম। শুধু ভেবেই চলছি ওর কথা।
হঠাত একদিন, ওর ফেইসবুক প্রোফাইল এর ছবি পরিবর্তন দেখলাম। ব্যাপারটি প্রথমে এতটা গভীরভাবে দেখি নাই প্রথমে। কিন্তু ২/১ দিন পরেই বুঝতে পারলাম আমার কাম ফিনিস করছে এই ছবি। এইবার বুঝতে পারলাম তবে হ্যা, প্রেম আমাকে পেয়ে বসেছে ভাল ভাবেই। ওর সেই ছবির চাহনি দেখলে যে কেউ !! আমি না হয়েও পাড়লাম না। তখন আসলেই এই কথাটির স্বার্থকতা বুঝলাম যে, “নারীরা আসলেই অনেক মায়াবী হয়”।
No comments:
Post a Comment